শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১২:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রায়পুরে মদীনাতুল উলুম নূরানি হাফেজিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত রায়পুরের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পুনরায় চেয়ারম্যান হতে চান অধ্যক্ষ মামুন রায়পুরে ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন লক্ষ্মীপুরে বসত ঘরে ঢুকে নারীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭! লক্ষ্মীপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গুলি-হামলায় ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু! লক্ষ্মীপু‌রে সেপ‌টিক ট্যাং‌কে নে‌মে বা‌ড়ির মা‌লিক সহ দুই জন নিহত রায়পুরে সরকারি চাল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যান তাফাজ্জল’র বিরুদ্ধে তৃতীয় বারের মত রায়পুর প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বেঙ্গল স্যু ইন্ড্রাষ্টিজ’র শ্রমিকরা রামগতিতে ইউপি চেয়ারম্যানের ষড়যন্ত্রের শিকার কৃষকসহ পাঁচ নিরীহ পরিবার

শীতের শুরুতেই জমে উঠেছে পিঠা বিক্রি

দেশ যুগান্তর প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৫২ বার দেখা হয়েছে

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি: শীত আসলেই মনে হয়ে যায় শীতের নানা রকম মুখোরোচক পিঠার কথা। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই হিমেল হাওয়ার প্রভাবে বেড়ে যায় শীতের তীব্রতা। শীতের শুরুতে গোধূলী বেলায় হালকা কুয়াশা নেমে আসতে না আসতেই নেত্রকোনা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় শীতে পিঠা বানানো, বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন পিঠা ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নেত্রকোনা জেলার পৌর শহরের থানারমোড়, মুক্তারপাড়া মাঠ, বড়বাজার, সাতপাই কালিবাড়ি মোড়সহ বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারের মোড়ে এবং গ্রামের দোকানে মাটির চুলায় তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের পিঠা। বেশির ভাগই চোখে পড়ে ভাপা ও চিতই পিঠা। শীত আসলেই এসব দোকান বসে।
পিঠা ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ ব্যবসায় তেমন বেশি পুঁজি লাগে না। জ্বালানি হিসেবে লাকড়ি বা খড়ি লাগে, এ ছাড়া কিছু গুড়, নারকেল ও চালের গুঁড়া দিয়েই শুরু করা যায় ব্যবসা।

তারা আরও বলেন, শীত মৌসুমে ভাপা ও চিতই পিঠা বিক্রি হয় বেশি। বিকেল থেকে বেশ রাত পর্যন্ত চলে বিক্রি। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে পিঠার দোকানগুলোতে।

জেলার পৌর শহরের থানার মোড়ে ভাপা পিঠা খেতে আসা আমহোসেন বলেন, চালের গুঁড়ার সঙ্গে গুড় এবং নারিকেল মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভাপা পিঠা। গরম গরম ভাপা পিঠার মজাই আলাদা। ভাপা পিঠা আমাদের দেশের গ্রামীণ বাংলার দেশীয় সংস্কৃতি লালন করছে। অন্যদিকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বেকারত্ব দূরীকরণ ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে।

পৌর শহরের পিঠা বিক্রেতারা জানান, বেচা-বিক্রি বেশ ভালোই। সন্ধ্যায় ক্রেতাদের আগমন ঘটে অনেক, ফলে চাহিদানুযায়ী বানানো হয়ে থাকে। গরমে তিনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও শীতের মৌসুমে তিনি ভাপা পিঠা ও সিদ্ধ ডিম বিক্রি করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুখে-শান্তিতে দিনযাপন করছেন।

তারা আরও বলেন, চিতই পিঠার সঙ্গে ধনে পাতা, মরিচ, সরষে, শুঁটকি বাটা দিয়েও পিঠা বিক্রি করেন তারা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে এখন এসব পিঠার এক একটির দাম নেওয়া হয় ১০ টাকা এবং ভাপা পিঠার দাম নেওয়া হয় ১৫ টাকা। সন্ধ্যার পরে দোকানে ক্রেতাদের ভিড় থাকে অনেক বেশি। কেউ টুলে বসে কেউ বা দাঁড়িয়ে পিঠা খান। অনেকে আবার বাড়ির জন্য কাগজে করেও নিয়ে যান এসব পিঠা।

এ বিষয়ে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ সেলিম মিঞা জানান, পথেঘাটে অনেক পিঠার দোকান বসে। দোকানদার অবশ্যই দুহাত ধুয়ে পিঠা তৈরি করবেন। রাস্তার পাশের দোকান ঢেকে রাখা প্রয়োজন। অপরদিকে, ক্রেতারা হাত ধুয়ে পিঠা খাবেন। কখনোই বাসি ও পচা পিঠা খাওয়া উচিত নয়। এতে গ্যাস্ট্রিকসহ ডায়রিয়া হতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আমাদের YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
Don`t copy text!
© All rights reserved © 2021 Desh Jugantor
Design & Developed by RJ Ranzit
themesba-lates1749691102
Don`t copy text!