শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০২:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রায়পুর পৌর আ.লীগ সভাপতির বাক্কিবিল্লাহ’র উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রায়পুরে মদীনাতুল উলুম নূরানি হাফেজিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত রায়পুরের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পুনরায় চেয়ারম্যান হতে চান অধ্যক্ষ মামুন রায়পুরে ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন লক্ষ্মীপুরে বসত ঘরে ঢুকে নারীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭! লক্ষ্মীপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গুলি-হামলায় ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু! লক্ষ্মীপু‌রে সেপ‌টিক ট্যাং‌কে নে‌মে বা‌ড়ির মা‌লিক সহ দুই জন নিহত রায়পুরে সরকারি চাল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যান তাফাজ্জল’র বিরুদ্ধে তৃতীয় বারের মত রায়পুর প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বেঙ্গল স্যু ইন্ড্রাষ্টিজ’র শ্রমিকরা

শেরপুরে এবার কোরবানির হাট কাঁপাবে সুলতান

শাহরিয়ার মিল্টন, শেরপুর :
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১
  • ৫৯৫ বার দেখা হয়েছে

খামারি রুহুল আমীন গত তিন বছর ধরে খুব যত্ন নিয়ে একটি ষাঁড় বাছুর লালন পালন করছেন । আদর করে নাম রেখেছন সুলতান। গত বছর ঈদুল আজহায়  কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় সুলতানকে বিক্রি করতে পারেননি। এবার কোরবানির ঈদে সুলতানকে ২০ লাখ টাকায় বিক্রির আশা করছেন তিনি।

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার খামারি রুহুল আমীন পেশায় পল্লী চিকিৎসক। দুটি অস্ট্রলিয়ান গাভী দিয়ে খামার শুরু করেছিলন তিনি। সেই খামারে থাকা একটি গাভী তিন বছর আগে এই ষাঁড় বাছুরটি জন্ম দেয়।

খামারি রুহুল আমিন জানান, সুলতানের বর্তমান ওজন ১ হাজার ৭’শ কেজি বা ৪২ মণ। তিনি দাবি করেন বর্তমানে সুলতানই জেলার সর্বোচ্চ ওজনের ষাঁড় । তিনি বলেন, খড়, তাজা ঘাস বাদেও সুলতানকে প্রতিদিন অন্তত ১০ কেজি করে খৈল, ভুসি, ভাতের মাড় ও চালের খুদি খাওয়াতে হয়। গত বছর করোনার কারণে সুলতানকে বাজারে তুলতে পারেননি। তাই খামারে এসেই অনেকে দরদাম করেছে। সে সময় সর্বাোচ্চ দাম বলা হয়েছিল ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আমি চেয়েছিলাম ১৫ লাখ। তাই দাম পছন্দমতো না হওয়ায় সুলতানকে বিক্রি করিনি। তিনি বলেন, এক বছর সুলতানের ওজন বেড়েছ। তাই এবার দামও বেড় গেছ। এবারের কোরবানির ঈদে এর দাম চাইবো ২০ লাখ টাকা।

রুহুল আমীন বলেন, সুলতানকে খামার থেকে বের করতে কমপক্ষ ৫ থেকে ৬ জন লোক লাগে। তাই সচরাচর তাকে বের করি না। শেরপুরে এই দামের গরুর ক্রেতা খুব একটা নেই। তাই সুলতানক ঢাকায় নিয়ে যেতে হবে। এতো বড় ষাঁড়কে ট্রাকে বা কোন যানবাহনে নেওয়াও কঠিন। করোনার কারণে এবারও হাটে নেওয়া না গেলে বিপদে পড়ে যাবো।

এদিকে সুলতানকে নিয়ে গ্রামের পাশাপাশি জেলার অনেকেরই রয়েছে কৌতূহল। প্রায় প্রতিদিনেই বিভিন্ন এলাকা থেকে বিশালাকৃতির সুলতানকে দেখতে আসেন অনেকেই। তুলছেন আবার সেলফি।

সুলতানকে দেখতে আসা ওয়াহিদুল বলেন, শেরপুর জেলায় সচরাচর এমন বড় ষাঁড় দেখা যায় না। কয়েকজনের কাছে সুলতানের নাম শুনে দেখতে এলাম। এত বড় ষাঁড় দেখে সত্যিই অবাক হয়েছি।

এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কোরবানির হাটে জনসমাগম কম হতে পারে। তাই আমরা অনলাইন প্ল্যাটফ্রম করেছি যাতে সুলতানের মতো ভালো গরুসহ সব ধরনের পশু সহজে অনলাইনে ছবি দেখে বিক্রি করা যায়।

দেশ যুগান্তর/আরজে

আপনার মন্তব্য লিখুন

আমাদের YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
Don`t copy text!
© All rights reserved © 2021 Desh Jugantor
Design & Developed by RJ Ranzit
themesba-lates1749691102
Don`t copy text!